ভূমিকম্প ঝুকিতে রয়েছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন দেখেও আতঙ্ক। সিলেট ও চট্রগ্রাম অঞ্চলে রিকটার স্কিলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন ভূতত্ত¡বিদরা। যুক্তরাস্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ভূমির গঠনেই ইন্ডিয়া প্লেট ও বার্মা প্লেটের অবস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে সেখানে যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে ৮ মাত্রার বেশি শক্তির ভূমিকম্প হতে পারে। যার প্রভাব পড়বে সিলেট ও চট্রগ্রাম অঞ্চলেও।

ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ

পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ তৈরি হয়েছে- আলাদা আলাদা পিঠ বা টেকটনিক প্লেট দিয়ে। যা বাসছে নিচের নরম পদার্থের উপর। পৃথিবীতে এরকম বড় ৭টি এবং অসংখ্য ছোট ছোট প্লেট রয়েছে। বেশ কিছু দেশ ও অঞ্চল রয়েছে এই বড় কিংবা সাবপ্লেটের আশ-পাশে। বাংলাদেশও সেরকম একটি দেশ। যুক্তরাস্টের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে গত ২ যুগ ধরে বাংলাদেশের ভূমিকম্প পরিস্তিতি নিয়ে গবেষণা করছে। গবেষকরা বলছেন- ইন্ডিয়া প্লেট ও বার্মা সাবপ্লেটের সংযোগ স্থলে দীর্ঘ বছর ধরে শক্তি জমে রয়েছে। বাংলাদেশ এই প্লেটসিমানায় না থাকলেও কাছাকাছি অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ভূমিকম্পের লঘু বলয়ে অবস্থিত স্থান কোনটি

দুটা প্লেট- ইন্ডিয়া প্লেট এবং বার্মা প্লেটের যে ইন্টারফেস। এটা আটকে আছে, লকড হয়ে আছে। এখানে স্লিপ করার মতো যে শক্তি, যে ফিকসন এনার্জি এটা অত্যন্ত হাই এবং এইটা যখন চিয়াারশল লিমিট অর্থ্যাৎ শিলারাশির মধ্যে যে শক্তি সেটার ধারণ ক্ষমতা যখন একসিট করবে। তখন এখানে স্লিপ করবে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক এবং ভয়াবহতার আশঙ্কা আমরা দেখছি। বলেছেন- অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ূন আখতার- ভূ-তত্ত¡ বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশে সবশেষ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৬ – ২০১৫ সাল পর্যন্ত যতগুলো ভূমিকম্পন হয়েছে তার বেশিরভাগই উৎপত্তি স্থল সিলেট ও চট্রগ্রাম বিভাগে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্রগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে। এসব অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝুকি বেশি।
সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে পাহাড়ী অঞ্চল। এই পুরা অঞ্চলটাই হচ্ছে একই অবস্থা। এখানে ২টা প্লেট আটকে রয়েছে। এখানে যে শক্তির- জন্যে আপনার হচ্ছে স্লিপ করতে হবে- সেটা আটকে রয়েছে। আরো অধিক পরিমাণ শক্তি যখন এখানে আসবে। অর্থ্যাৎ শক্তি ধারণ ক্ষমতা এক্সিট করে যাবে। তখন প্লেট জাম্প করেব। তখনই ৮ মেগনিচুয়েট বা কাছাকাছি এরকমের ভূমিকম্প হবে।

যেসব স্থানে একটি প্লেট এসে আরেকটি প্লেটের কাছাকাছি এসে মিশেছে, ধাক্কা দিচ্ছে বা ফাটল ধেরেছে। সেটাই ফল্ট লাইন। এই ফল্ট লাইনের আসে পাশের দেশগুলোতে ভূমিকম্পের ঝুকি থাকে বেশি বলে জানান ভূতত্ত¡ বিশেষষ্ণরা।
ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন
ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন দেখা সাধারণত একটি সাধারণ ঘটনা। মানুষের মনে সাধারণত ভয় ও উদ্বেগ এমন কিছু যা দেখা সম্ভব না তবে ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে আসল জীবনের জন্য সতর্কতা বাড়ে নিতে পারে।
একটি ভূমিকম্পের স্বপ্ন দেখলে মানুষ তার বাস্তব জীবনের একটি সতর্কতা আরো বাড়িয়ে নিতে পারে। সম্ভবত এটি সতর্কতার একটি সিগনাল হিসেবে কাজ করতে পারে এবং প্রয়োজনে মানুষকে সতর্ক হতে সাহায্য করতে পারে।
ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন দেখার কারণ সাধারণত মনের উপস্থিতি এবং স্বাভাবিক মানসিক কাজের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। কিন্তু একটি বিপদ এমন হতে পারে যা স্বপ্নে দেখা হয়েছে এবং সেটি আসল জীবনে ঘটে যাচ্ছে।
ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন, হোমিও (প্রাকৃতিক) মেডিসিনঃ
ঘুমে ভূমিকম্পের স্বপ্ন, হোমিও (প্রাকৃতিক) মেডিসিন হলো

সাইলিসিয়া হোমিও ঔষধ
মন।– প্রত্যাশী, ক্ষীণ চিত্ত, উদ্বিগ্ন । স্নায়বিক এবং উত্তেজনাপূর্ণ. সব ছাপ সংবেদনশীল . ব্রেন-ফ্যাগ। দৃঢ়চেতা, অস্থির শিশু। বিমূর্ত। স্থির ধারণা; শুধু পিনের কথা চিন্তা করে , ভয় পায়, অনুসন্ধান করে এবং গণনা করে।
প্রশ্নোত্তর পর্বঃ
প্রশ্নঃ সিলিসিয়া হোমিওপ্যাথি কিসের জন্য ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: সিলিসিয়া (সিলিকাও বলা হয়)
কম স্ট্যামিনা সহ স্নায়বিক লোকেদের জন্য এটি একটি কার্যকর প্রতিকার যারা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তারপরে অনিদ্রায় ভোগেন। ব্যক্তি প্রায়শই প্রথমে ঘুমাতে যায়, কিন্তু হঠাৎ করে মাথার মধ্যে গরম বা ক্রমবর্ধমান অনুভূতির সাথে জেগে ওঠে-এবং আবার ঘুমাতে অসুবিধা হয়।
প্রশ্নঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ Silicea এর উপকারিতা কি?
উত্তর: Silicea হল একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ক্লান্তি এবং বিরক্তি থেকে মুক্তি দেয়। ফোরা গলে যায়।
প্রশ্নঃ Silicea এর সুবিধা কি কি?
উত্তর: ব্যবহার – হালকা ব্রণ এবং ভঙ্গুর নখ থেকে সাময়িক উপশমের জন্য।
প্রশ্নঃ সিলিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি?
উত্তর: বক্ষ ব্যাধি থাকলে সহজে আমরা না দেই।
প্রশ্নঃ আমার কাছাকাছি সেরা হোমিওপ্যাথিক (ন্যাচারালপ্যাথি) ডাক্তার?
উত্তর: আমার কাছাকাছি সেরা হোমিওপ্যাথিক (ন্যাচারালপ্যাথি) ডাক্তার এবং ঢাকার সেরা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হলেনঃ মোতালিব হোমিও এর নেয়ামত উল্লাহ।
প্রশ্নঃ হোমিওপ্যাথি (ন্যাচারাল) ওষুধ অনলাইন?
উত্তর: হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি মোতালিব হোমিও ফার্মেসি থেকে অনলাইনে কেনা যেতে পারে। কোনো হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার গ্রহণের আগে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ হোমিওপ্যাথির উদাহরণ?
উত্তর: হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে আর্নিকা মন্টানা, যা ক্ষত এবং পেশী ব্যথার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়; বেলাডোনা, যা জ্বর এবং মাথাব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়; এবং Nux vomica, যা হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।