১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

85 / 100

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য। ১২৭ বছর বয়স হলেও কোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারেনি। 

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

আজকে আপনাদের সাথে এক বিশিস্ট মানুষের সাথে পরিচয় করাব। সদা হাসোজ্জল বুড়ো। হাসোজ্জল কেন বলছি? ১২৭ তার বয়স। তার দাবি এবং বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ রেখেছেন তার সপক্ষে এবং এই বয়সেও কমপ্লিটলি ফিট। না সুগার আছে, না চোখে কেটারেক্ট হয়েছে, না অন্যকোন শারীরিক সমস্যা। একদম ৩০,৩৫, ৪০ বৎসরের মানুষের চেয়ে অনেক ফিট। তিনি জন্মেছেন ১৮৯৬ সালে। নেতাজির সমসাময়িক, নজরুল ইসলামের সমসাময়িক। এরকম একজন মানুষ, তার অভিজ্ঞতাতো আমাদের শুনতেই হবে। যা জানা দরকার তা প্রশ্নোত্তর থেকে সরাসরি অনুলিপি:

সরাসরি ছবি দেখাই, তার শরীরের এইমুহুর্তে কি পরিস্থিতি, তিনি কেমন আছেন?

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

নাম: শিবানন্দ 

জন্ম: উনবিংশ শতাব্দীতে। ১৮৯৬ এর ৮ই অগাস্ট।

 িনশ্চয়ই মনে পরছে- তার ঠিক এক বৎসর আগে এক্সরে আবিস্কার হয়েছে।

জন্মস্থান: বাংলাদেশের, হবিগঞ্জ জেলা, বাহুবল উপজেলার, হরিতলা গ্রামে।

বয়স এখন: মাত্র ১২৭ (২০২৩সালের ২৩’ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত)। ১২৬ বৎসর ৬মাস ১৫দিন।

উচ্চতাঃ পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি

পুরষ্কারঃ সম্প্রতি এই ব্যক্তি ভারতের পদ্মশ্রী পুরষ্কার লাভ করেছেন তার দীর্ঘ জীবনের জন্য। ২১ মার্চ ২০২২ তিনি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।স্বামী ডক্টর শিবানন্দ পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি। 

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

ব্লাড প্রেসার: নরমাল

সুগার: নেই

কোলেস্টেরল: নেই

হার্ট: সম্পূর্ণ সুস্থ্য

কিডনি: সম্পূর্ণ সুস্থ্য

লিভার: সম্পূর্ণ সুস্থ্য

চোখের দৃস্টি: স্বচ্ছ। প্রয়োজন নেই চশমার

অভাক হচ্ছেন। নিজের চোখেই দেখুন।

ওল্ড এইজতো জানা গেল। ১২৭টি বসন্ত পেরিয়েও এমন যৌবন শক্তি কিভাবে ধরে রাখেন স্বামী শিবানন্দ (যোগী)।

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

খাবারে সেদ্ধ ভাত আর সবজি! ১২৭ বছরেও পুরো ফিট

খাবার:

উত্তরঃ ভাত ও সব সেদ্ধ, ডাল খেতে পছন্দ করেন। তেল ছাড়া।

১২৭ বছরেও ফিট:

শিবানন্দের এই ফিটনেসে অভাক চিকিৎসকেরা। তার মেডিকেল চেকআপের পর চিকিৎসক পর্যন্ত বলছেন- লাইফ টাইম এক্সপেরিয়েন্স। ১০০ বৎসরের উপর রোগী দেখার অপরচুনিটি খুব একটা হয় না। আমরা ইউজাল্লি ৯৫-৯৭ বৎসরের পেশেন্ট মেক্সিমাম দেখেছি। আমি দেখিছিলাম ৯৭ ইয়ারস একজনকে। তাদের হেলথ কন্ডিশিন ও ওনার হেলথ কন্ডিশেনের মধ্যে অনেক ডিফারেন্স। তাকে দেখলে মোরদেন ৮০বৎসর ভাবাটা একটু ডিফিকাল্ট হয়। বলছিলেন- তার ব্যক্তিগত ডাক্তার মি: শুদ্ধসত্ত¡ চট্টোপাধ্যায়। 

না, এটা সেলুলাইট না। 

এটা স্বপ্নও নয়। এ অতিঘোর বাস্তবের শিবানন্দ। ১২৭ বৎসরের হাসোজ্জল বুড়ো। 

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

কেমন আছেন আপনি: ১২৭ বৎসরে।

উত্তরঃ ফিজিকাল্লি ফিট। 

মেনটাল্লি এলার্ট।

দীর্ঘজীবনের রহস্য

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

দীর্ঘজীবনের রহস্য | এই ফিটনেস কি করে সম্ভব। ১২৭বৎসর প্রথমত। আপনি জন্মেছেন ১৮৯৬ সালে । কল্পনারতিত আমাদের কাছে। তো ১৮৯৬ তে তো সেরকম রেজিস্টার্ড কোন বার্থ সার্টিফিকেট, সেরকম কিছুই তৈরি হতো না।

উত্তরঃ কুস্টি। অথেনটিক ইন ইনটারন্যাশনাল।

ঐ হরসকপিতে আপনার ডেট অফ বার্থ পেয়েছেন।

আপনার তো এখন পাসপোর্ট রয়েছে। 

উত্তরঃঅন্যান্য আদার কার্ডও রয়েছে। সেখানেও হরসকোপ থেকে নেয়া তথ্য সেখানে দেয়া রয়েছে।

আপনি ঘুরে বেড়ান গোটা দেশ?

উত্তরঃহ্যা

বছরেও ফিট তিনি জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য c
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

থাকেন কোথায়?

উত্তরঃবেনারশ, কলকাতা

আমি একটু আপনার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলি?

১২৭ বছরেও ফিট সত্যি কথা বলতে, খালি চোখে হঠাৎ দেখলে বিশ্বাস হয়না।

১২৭ বৎসরে এরকম ফিটনেস, সব বুঝতে পারছেন, কথা বলছেন, নিজে নিজে হাঁটছেন। 

এটা কোন মানুষের প্রথমে বিশ্বাস হয় না। দীর্ঘজীবনের রহস্য

আমিও প্রথম যখন দেখেছি- তখন ৯৮বৎসর বয়সে ১৯৯৪ এ। তখন যেরকম ওনাকে দেখেছি, এখন ঠিক একই রকম। চেহারার মধ্যে খুব একটা পরিবর্তন দেখতে পারছি না। এবং যেটা মেডিকেল সায়ন্সের মধ্যে বিস্ময় হতে পারে। আমি ১২৭বৎসরের মানুষ, এতটা ফিট থেকেছেন। তার ভাইটাল অর্গানগুলোর স্ট্যাটাসগুলো দেখুন। তার সঙ্গে তার যে একটা লাইফ স্টাইল। তার লাইফ স্টাইল থেকে একটা লেসন সেটা রিসার্চের বিষয় হতে পারে। ওনারতো মেটালিস্টিক লাইফ স্টাইল ও স্পিরিচুয়াল সে ব্যাপারটা কি আমি তা বলতে পারবো না। এটা সত্যি খুব বিস্ময়কর ব্যাপার- আমি দেখেছি যেটা খুব কাছ থেকে তিনি অত্যন্ত সিম্পল ও ডিসিপ্লিন লাইফ লিড করেন।

ওনি কোনরকম টেনশন করেন না। 

ওনার সম্বন্ধে অনেক কিছু বলতে হবে।

১২৭ বছরেও ফিট, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা খুব রেয়ার। ১২৭ সামনে দেখতে পারছি। কথা বলছেন, এটা আমাদের কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশেষ করে চামড়া ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়। বিশন রিংকেল, মুখ একেবারেই চেনা যায় না। মুখ অনেক বেশি ফুলে যায়। ওনার ক্ষেত্রে টেকটিকাল্লি তেমন কিছুই হয়নি।

শুধু চামড়া কেন? বয়সের সাথে সাথে সমস্ত যায়গায়। মানে বডির প্রত্যেকটা অর্গানের অঙ্গে প্রত্যঙ্গে চেঞ্জ হয়। স্বাভাবিক যদি আমরা ব্রেইন থেকে শুরু করি। ব্রেইনে একটা ডিমেনশিয়া হয়, স্ট্রোক প্রবনতা বারে। পার্কিনসনিজম হয়। এলজাইমার্স হয়। চোখে ছানি পরে। নাকে স্মেলিং কেপাবিলিটি কমে যায়। দাঁত পরে যায়। ক্রমশ নামতে থাকে। কার্ডিয়াক প্রভলেম হয়, শ্বাসকস্ট হয়, পেটে হজম শক্তি কমে যায়। সমস্তই হয়। স্কিন ডেফিনেটলি বাহির থেকে বুঝতে পারি। কিন্তু হ্যা ওনার ক্ষেত্রে যেটুকু ওনাকে এক্সামিন করেছি- এ্যাপোলোতে ওনাকে পার্সোন্যাল্লি এক্সামিন অনেক কিছু ইনভেস্টিগেশন হয়েছে। ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট এবং ওভারল ওনাকে দেখে সেই জিনিসগুলো ওনার বয়স অনুপাতে হয়েছে বলে কোন ভাবে মনে হয় না। আমরা সত্যি ১২৭ বৎসর দেখেনি। আমি জীবনে প্রথমবার দেখলাম। আমি মোরদেন ১০০ বৎসর দেখেছি খুব কম। নেই বল্লেই চলে। সেই এসপেক্টে ওনার যে কন্ডিশন সেটাকে সত্যি ১০০বৎসর বলাই যায় না। ১০০বৎসরের কম মনে হয়। আমার ৮০বৎসরও মনে হয়নি। 

আচ্ছা, মানে ওনার ফিজিকাল্লি চেকআপ করার পর বলছেন। হার্টের যা কন্ডিশন, কিডনির যা কন্ডিশন?

ওনার ইনভিস্টেগন কন্ডিশন খুব ভালো। ওনার ইকো কার্ডিওগ্রাফি রিপোর্ট খুব ভালো। 

বাহ, ৮০বৎসর থেকেও ওনি খুব ফিট রয়েছেন। কিন্তু বয়স ১২৭। এমনটাই বলছেন শিবানন্দ বাবু।

আপনার চোখ এত ভালো এখনো, ১২৭ বছরেও ফিট জানতে চাচ্ছি?

উত্তরঃ ছড়ায় বললেন- ভোজনান্তে চোখে জল দৃস্টি শক্তি হয় প্রবল।

নিত্য যোগাভ্যাস করেন বা প্রাণায়ম করেন তার সঙ্গে কিন্তু চোখের এক্সারসাইজ রয়েছে। যেগুলো তিনি করেন। 

চোখেরে এক্সারসাইজ? 

উত্তরঃআই বলটা ওনি সার্কুলার মুভমেন্টে করেছেন। মাসেলগুলো মুভমেন্ট করেন। উপর নিচ, মানে হরিজোন্টাল ও ভার্টিকাল।

দিনে কতক্ষন করেন আপনি?

উত্তরঃ ৫ বার করলেই হয়ে যায়।

কিন্তু এই বয়সে, হাড়ও দুর্বল হয়ে যায়। তখন আপনার এক্সরসাইজ করতে কোন সমস্যা হয় না। 

উত্তরঃ যখন ভালো লাগে না করিনা। 

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য|ডেইলি রুটিন

আপনার একটু ডেইলি রুটিননা বলুন- কখন ঘুম থেকে উঠেন, কি খান। ১২৭ বছরেও ফিট ও তরুণ।

উত্তরঃ ভোর ৩টায় ঘুম থেকে ওঠি।

ভাল করে জিভ পরিস্কার করি।

চোখে বারবার পানি দেই। 

গোসল সেরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাই।

আমি ব্যায়াম করি ৪৫ মিনিট।

তারপর আমি জপ করি ৩ ঘন্টা।

রেস্ট নেই। 

তারপরে গীতা পাঠ করি, চন্ডি পাঠ করি।

ব্রেকফাস্ট কখন করেন?

উত্তরঃ ব্রেকফাস্ট তত সময় লাগে না।

লাঞ্চ কখন করেন?

উত্তরঃ যখন হবে, আমি নিজে রান্না করি, আমারটা। রান্না করে ভোগ দেই, তারপর খাই। 

কি খান?

উত্তরঃ সিদ্ধ। নো ওয়েল। নো সুগার। 

ভাত খান তো? 

উত্তরঃহা। 

ভাত, সবজি সিদ্ধ খান?

উত্তরঃ সবজি সিদ্ধ। ওইথয়াওট ওয়েল

মাছ মাংস খান?

উত্তরঃ ভেজ।

একফোটাও তেল খান না?

উত্তরঃ না।

তাহলে তেলেই কি এটার রহস্য? ডাঃ চেটারজির কাছে প্রশ্ন একেবারে তেল বর্জন করে, এরকম দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব?

উত্তরঃ মেডিকেল রিসার্চ যেটুকু বলে- ফিস ওয়েল যেটা। ওমেগা-৩ ফেটি এসিড এটা কিন্তু এন্টিজেন।

কিন্তু মাছ খান না?

উত্তরঃ কি বলব ওভারওল একজন এক্সেশপন। ওনাকে রোল্স করা যায়না।

ওনাকে মেডিকেল ব্যাখা করতে পারছে না?

উত্তরঃএক্সেশপ সবসময় হয়, একটা মানুষ সবকিছুর বাহিরে চলে যেতে পারেন। কিন্তু ওভারওল রুলকে আমরা ব্রেক করা উচিত না। কারণ ওনার যে ব্যাপারগুলো হয়েছে। ওনি যেটা শুরু থেকে ফলো করেছেন। একদম অল্প বয়স থেকে। আমি যদি সবাইকে বলি- ছোটবেলা থেকে নিরামিষ খাবেন। কোনভাবে আমিষ বর্জন করবেন। শুধু সিদ্ধ খাবেন। আমি জানিনা কতটুকু এক্সেপটেবল হবে। ওমেগা-৩ এসিড ফিস ওয়েল, সেটার একটা এন্টি এজেন্ট প্রসেস আছে। সেটা সায়েন্টিফিকাল্লি প্রুভ।

কোন সবজির মধ্যে সেটা পাওয়া যায়?

উত্তরঃসবজির মধ্যে ওমেগা-৩ এসিড পাওয়া যায় না।

কথা শুনে বললেন- হ্যাভিট ইস এ সেকেন্ড ন্যাচার।

উত্তরঃযা অভ্যাস করবে সেটাই সইবে।

অত্যন্ত দারিদ্রতায় শৈশবকাল কেটেছে। তার বাবা-মা তাকে শুধু সেদ্ধ ভাত খাওয়াতেন। ৬ বছর বয়সে মা ও বাবাকে হারানোর পর তাকে আত্মীয়রা পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে আশ্রমে রেখে আসেন।

সেখানকার গুরু ওমকারানন্দ গোস্বামী তার দেখাশোনা করেন। তাকে সব ধরনের ব্যবহারিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান করেন। তার শিক্ষা পেয়েই সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবন অতিবাহিত করে আসছেন শিবানন্দ। ‘যত সাধারণ জীবন, তত দূরে থাকবে রোগজ্বালা’, ১২৭ বছরেও ফিট ও নিরোগ।

মেঝেতে একটি মাদুরে ঘুমান ও বালিশ হিসাবে একটি কাঠের স্ল্যাব ব্যবহার করেন। এমনকি তিনি আধুনিক জীবন উপকরণ থেকেও আলাদা থাকতেই পছন্দ করেন।

তিনি বলেন, ‘আগেকারা মানুষেরা খুব কম জিনিসেই খুশি থাকতেন। আজকাল মানুষ অসুখী, অস্বাস্থ্যকর ও অসৎ হয়ে উঠেছে, যা সত্যিই কষ্টকর। আমি শুধু চাই মানুষ সুখী, সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ হোক।’

১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য
১২৭ বছরেও ফিট তিনি, জানালেন দীর্ঘজীবনের রহস্য

বছর ১৫ আগে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন-

ভোর তিনটায় ওঠেন তিনি। তারপর প্রথমে ১৯ বার ‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ’ বলেন। এরপর নারায়ণ মন্ত্র পাঠ। তারপর ইয়োগা করে দিনের অন্য কাজ।

প্রশ্নোত্তর পর্বঃ

জাপানে দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী?

জাপানে দীর্ঘ জীবনের রহস্য জাপানি খাদ্যের জন্য দায়ী করা হয়, যেখানে মাছ, শাকসবজি এবং আস্ত শস্য বেশি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম। 

কিভাবে ১০০ বছরের বেশি বাঁচবেন?

১০০ বছরের বেশি সময় বেঁচে থাকার জন্য, শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার প্রচার করে এমন জীবনধারা পছন্দ করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া, মানসিক টেনশনের মাত্রা কমানো, ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এড়ানো। 

দীর্ঘায়ুর ৩টি চাবিকাঠি কী?

দীর্ঘায়ুর তিনটি চাবিকাঠি হল:

১. সুষম খাদ্য খাওয়া।

২. নিয়মিত ব্যায়াম করা।

৩. টেনশন কমানো।

কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে? 

জাপানে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ু রয়েছে, এর নাগরিকদের গড় জীবন 84.25 বছর। উচ্চ আয়ু সহ অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর (84.07 বছর), স্পেন (83.15 বছর), সুইজারল্যান্ড (83.12 বছর), এবং ইতালি (82.90 বছর)।

আমার কাছাকাছি সেরা হোমিওপ্যাথিক (ন্যাচারালপ্যাথি) ডাক্তার?

আমার কাছাকাছি সেরা হোমিওপ্যাথিক (ন্যাচারালপ্যাথি) ডাক্তার এবং ঢাকার সেরা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হলেনঃ মোতালিব হোমিও এর নেয়ামত উল্লাহ

হোমিওপ্যাথি (ন্যাচারাল) ওষুধ অনলাইন?

হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি মোতালিব হোমিও ফার্মেসি থেকে অনলাইনে কেনা যেতে পারে। কোনো হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার গ্রহণের আগে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

হোমিওপ্যাথির উদাহরণ?

হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে আর্নিকা মন্টানা, যা ক্ষত এবং পেশী ব্যথার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়; বেলাডোনা, যা জ্বর এবং মাথাব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়; এবং Nux vomica, যা হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বিপদ? 

হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারগুলিকে সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়, কারণ ব্যবহৃত তরলীকরণগুলি খুব কম এবং ব্যবহৃত পদার্থগুলি প্রাকৃতিক। যাইহোক, কিছু লোক হালকা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে যেমন মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা ক্লান্তি। কোনো হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার গ্রহণের আগে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

হোমিওপ্যাথির উপকারিতা?

হোমিওপ্যাথির সুবিধার মধ্যে রয়েছে উন্নত স্বাস্থ্য, ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত।

সবচেয়ে বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কে?

সবচেয়ে বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হলেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, যিনি 18 শতকের শেষের দিকে হোমিওপ্যাথির অনুশীলন প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব পান।

হোমিওপ্যাথি কি আসলে কাজ করে?

হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা একটি গবেষণার বিষয়, কিছু গবেষণায় ইতিবাচক ফলাফল দেখায় এবং অন্যরা কোন প্রভাব দেখায় না।

হোমিওপ্যাথি কিভাবে বাড়ছে?

হোমিওপ্যাথি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ আরও বেশি লোক বিকল্প ওষুধের সন্ধান করছে। এটি অনুমান করা হয় যে বিশ্বব্যাপী 200 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসাবে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *