জুলুমকারীর ক্যান্সার হয় : ৫ম পর্ব

ক্যান্সার এমন একটি অবস্থা যখন শরীরের কয়েকটি কোষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেড়ে যায় এবং অন্যান্য শারীরিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
86 / 100

জুলুমকারীর ক্যান্সার হয়

https://mptcare.com/oppressors-get-cancer/

ক্যান্সারের লক্ষণ : প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

What is Cancer 1

ক্যান্সার কি?

ক্যান্সারের সংজ্ঞা। ক্যান্সার এমন একটি অবস্থা যখন শরীরের কয়েকটি কোষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেড়ে যায় এবং অন্যান্য শারীরিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

Cancer Symptom

ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়

লক্ষণ

শরীরের কোন অঞ্চল প্রভাবিত হয় তার উপর নির্ভর করে, ক্যান্সার বিভিন্ন লক্ষণ এবং উপসর্গ তৈরি করতে পারে।

নিম্নলিখিত কিছু সাধারণ  ইঙ্গিত এবং ক্যান্সারের লক্ষণ যা এই রোগের জন্য বিশেষ নয়:

  1. ক্লান্তি
  2. ত্বকের নিচে একটি পিণ্ড বা ঘন হয়ে যাওয়া অনুভূত হতে পারে।
  3. ওজনে পরিবর্তন, যেমন অপরিকল্পিত হ্রাস বা বৃদ্ধি
  4. ত্বকের পরিবর্তন যেমন ত্বক হলুদ, গাঢ় বা লাল হয়ে যাচ্ছে, ঘা যা সারবে না, বা বিদ্যমান আঁচিলের পরিবর্তন
  5. অন্ত্র বা মূত্রাশয় প্যাটার্নে পরিবর্তন
  6. ক্রমাগত কাশি বা শ্বাসকষ্ট
  7. গিলতে সমস্যা হচ্ছে
  8. অবিরাম ডিসপেপসিয়া বা খাবারের পরে অস্বস্তি অবিরাম, উপসর্গবিহীন জয়েন্ট বা পেশী ব্যথা
  9. ক্রমাগত, অযৌক্তিক জ্বর বা রাতে ঘাম
  10. ক্ষত বা রক্তপাত যা স্বাভাবিক নয়

এই ক্যান্সার প্রতিরোধক পরামর্শ সম্পর্কে চিন্তা করুন.

  • তামাক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। যেকোনো ধরনের সিগারেট ব্যবহার আপনাকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে রাখে।
  • একটি সুষম খাদ্য বজায় রাখুন।
  • শারীরিকভাবে সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর ওজনে থাকুন এবং নিজেকে সূর্য থেকে রক্ষা করুন।
  • বিপজ্জনক কাজ থেকে বিরত থাকুন।
Cause of Cancer 1

ক্যান্সারের কারণ

জিনের পরিবর্তন যা জন্মের পরে ঘটে। ধূমপান, ভাইরাস, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ (কার্সিনোজেন), স্থুলতা, হরমোন, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ এবং নিষ্ক্রিয়তা সহ বিভিন্ন কারণের দ্বারা জিনের পরিবর্তন হতে পারে।

মরণব্যাধি ক্যান্সারের লক্ষণ

  1. অত্যধিক ক্লান্তি বা ক্লান্তি যা বিশ্রামের সাথে উন্নতি করে না।
  2. আপাত কারণ ছাড়াই 10 পাউন্ড বা তার বেশি ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি
  3. খাওয়ার সমস্যা যেমন ক্ষুধার্ত না থাকা, গিলতে সমস্যা হওয়া, পেটে ব্যথা অনুভব করা বা বমি বমি ভাব এবং অসুস্থ বোধ করা
  4. সারা শরীর জুড়ে পিণ্ড বা ফোলা
  5. স্তন বড় হওয়া বা শরীরের অন্য কোনো অংশে ফুলে যাওয়া
  6. ব্যথা যা চলে যায় না বা খারাপ হয়, বিশেষ করে নতুন ব্যথা বা ব্যথা যার কোনো স্বীকৃত কারণ নেই
  7. ত্বকের পরিবর্তন যেমন একটি পিণ্ড যা রক্তপাত হয় বা খসখসে হয়ে যায়, একটি তিল যা বিকশিত হয় বা পরিবর্তিত হয়, একটি ক্ষত যা নিরাময় হয় না, বা ত্বক বা চোখে হলুদ আভা (জন্ডিস)।
  8. ক্রমাগত কাশি বা কর্কশতা
  9. আপাত কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক রক্তপাত বা ক্ষত
  10. আপনার অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন, যেমন ক্রমাগত ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, বা আপনার মলের চেহারাতে পরিবর্তন
  11. মূত্রাশয় পরিবর্তন, যেমন কম বা বেশি ঘন ঘন প্রস্রাব করার ইচ্ছা বা প্রস্রাব করার সময় অস্বস্তি অনুভব করা বা প্রস্রাবে রক্ত
  12. রাতে জ্বর বা ঘাম
  13. মাথাব্যথা
  14. শ্রবণ বা দৃষ্টি সমস্যা
  15. মুখে ঘা, রক্তপাত, ব্যথা বা অসাড়তা

জালেম ও জুলুম কী

ইসলামে সব ধরণের জুলুম/অত্যাচার কঠোরভাবে হারাম। জুলুমকারী সবচেয়ে ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট। আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য জুলুমকে হারাম করে নিয়েছেন। এটি মানুষের জন্যও নিষিদ্ধ। এটি কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ। 

কোরআন-সুন্নাহর একাধিক বর্ণনায় বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে। জুলুমকে আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে নবিজী ঘোষণা করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজের জন্যে জুলুম করা হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও জুলুম হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা একজন অন্যজনের উপর জুলুম করো না।’ (মুসলিম, তিরমিজি) 

শুধু জুলুম বা অত্যাচার করাই হারাম নয়, বরং অন্যকে জুলুমে সহযোগিতা করা এবং জালিম/ অত্যাচারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা এবং ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম। 

জালেমদের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা 

মানুষের ওপর জুলুম করা ভয়াবহ গুনাহ ও মারাত্মক শাস্তির কারণ। যার শাস্তি কোনো না কোনো উপায়ে দুনিয়ার জীবন থেকেই শুরু হয়ে যায়। অহংকার ও গর্বের কারণে জালেম/ অত্যাচারীরা মনে করে, কেউ তাদেরকে কখনো পাকড়াও করবে না। অথচ আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে তাদেরকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এভাবে- \

১. وَ سَیَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اَیَّ مُنۡقَلَبٍ یَّنۡقَلِبُوۡنَ 

‘আর অত্যাচারীরা অচিরেই জানতে পারবে, তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?’ (সুরা আশ-শুআরা : আয়াত ২২৭) 

আয়াতে ‘তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?’ এর মর্মার্থ হলো- জাহান্নাম। এখানে পাপীদের জন্য রয়েছে কঠিন সতর্কবাণী। হাদিসে পাকেও এ সতর্কবাণী এসেছে এভাবে-

‘অত্যাচার করা থেকে দূরে থাকো! কারণ অত্যাচার কেয়ামতের দিন অন্ধকারের কারণ হবে।’ (মুসলিম) 

২. وَ لَا تَحۡسَبَنَّ اللّٰهَ غَافِلًا عَمَّا یَعۡمَلُ الظّٰلِمُوۡنَ ۬ؕ اِنَّمَا یُؤَخِّرُهُمۡ لِیَوۡمٍ تَشۡخَصُ فِیۡهِ الۡاَبۡصَارُ – مُهۡطِعِیۡنَ مُقۡنِعِیۡ رُءُوۡسِهِمۡ لَا یَرۡتَدُّ اِلَیۡهِمۡ طَرۡفُهُمۡ ۚ وَ اَفۡـِٕدَتُهُمۡ هَوَآءٌ – وَ اَنۡذِرِ النَّاسَ یَوۡمَ یَاۡتِیۡهِمُ الۡعَذَابُ فَیَقُوۡلُ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا رَبَّنَاۤ اَخِّرۡنَاۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ نُّجِبۡ دَعۡوَتَکَ وَ نَتَّبِعِ الرُّسُلَ ؕ اَوَ لَمۡ تَکُوۡنُوۡۤا اَقۡسَمۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلُ مَا لَکُمۡ مِّنۡ زَوَالٍ 

‘(হে নবি!) তুমি কখনো মনে করো না যে, সীমালংঘনকারীরা (জালেমরা) যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ উদাসীন। আসলে তিনি সেদিন পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন, যেদিন সব চোখ স্থির হয়ে যাবে।

ভীত-বিহব্বল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে। নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফেরবে না এবং তাদের অন্তর হবে (জ্ঞান) শূন্য।

(হে নবি!) সেদিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক কর; যেদিন তাদের শাস্তি আসবে, যখন সীমালংঘনকারীরা (জালেমরা) বলবে, ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দাও; আমরা তোমার আহবানে সাড়া দেব এবং রাসুলদের অনুসরণ করবো।’ (তখন তাদেরকে বলা হবে,) ‘তোমরা কি আগে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের কোনো পতন নেই?’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪২-৪৫) \

জুলুমের শাস্তি 

জাহান্নামে জুলুম/জালেমদের অনেক ধরণের কঠোর শাস্তি রয়েছে। জুলুমের অপরাধী/ জাহান্নামীদের মধ্যে সবচেয়ে কম শাস্তি যাকে দেওয়া হবে; তার বিবরণ থেকে বুঝা যায়; জাহান্নাম কত কঠিন জায়গা। আর জুলুমের শাস্তি কত মারাত্মক! হাদিসে পাকে এসেছে- 

হজরত নুমান বিন বশির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মাঝে সবচেয়ে সহজ ও হালকা শাস্তি দেওয়া হবে যে ব্যক্তিকে; সে হলো তার পায়ের তলাতে দুটো জ্বলন্ত অঙ্গার থাকবে, যার কারণে তার মাথার মগজ ছোট মুখ বিশিষ্ট হাড়ির ন্যায় উথলাতে থাকবে।’ (বুখারি, মুসলিম) 

সুতরাং সাবধান!

জালেম ও জুলুমের শাস্তি হবে কঠিন। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা আগে থেকেই এই বলে সতর্ক করেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা জালেম, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ২২)

মুমিন মুসলমানের উচিত, জুলুম থেকে বিরত থাকা। জুলুমের সহযোগিতা থেকে বিরত থাকা। কোরআন-সুন্নাহর সতর্কবার্তা অনুযায়ী নিজেদের জুলুম থেকে বিরত রাখা ঈমানের একান্ত দাবি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে জুলুম ও জালেম হওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জুলুমকারীর ক্যান্সার হয়

a Virtual Zoom Meeting scheduled Zoom meeting.

nayamot ullah
cancer awareness program

Topic: Cancer Prvention Awareness Program– 15th October’22

Saturday time : 9.30am to 11 am, Inshallah.

Location : Dania Chamber/ Virtual

https://us05web.zoom.us/j/85854286194?pwd=MjBDRXdrQ0U3YmJhN042bHBaU2VTQT09

Meeting ID: 858 5428 6194

Passcode: 1236

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *